কোনো কিছুই আর ফেলার নয়। ‘সবুজ’ জ্বালানীর পর এবার আসছে ‘হলুদ’ জ্বালানী। কলার খোসা থেকে এবার জ্বালানী তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এ প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছেন।
নতুন এ প্রযুক্তি বন উজাড় রোধ করে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের মতে, একটন কলার জন্য আরও প্রায় দশ টন বর্জ্য তৈরি হয় এর খোসা, পাতা ও কান্ড থেকে।
নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি-এর ছাত্র জোয়েল চ্যানি রুয়ান্ডা সফর শেষে কলার এই সব বর্জ্য থেকে জ্বালানী উদ্ভাবনের চিন্তা করেন। গবেষণাগারে ফিরে তিনি প্রথমে কলার খোসা এবং পাতা থেকে মণ্ড তৈরি করেন। এ মণ্ডের সঙ্গে কাঠের গুড়া মিশিয়ে তৈরি করেন চাপড়া যা জ্বলতে সক্ষম। একইসাথে এগুলো রান্নার জন্যও বিশেষ উপযোগী।
চ্যানি বলেন, “কলার খোসা আঠার মতো কাজ করে অন্য বস্তুকে খুব ভালোভাবে আটকে রাখতে পারে।”
এই প্রকল্পটিতে সরল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যেটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বড় কোনো অর্থনৈতিক বরাদ্দ ছাড়াই ব্যবহার করা যেতে পারে।
আফ্রিকাতে বছরের পর বছর ধরে নতুন ধরনের জ্বালানীর উৎস খোঁজার চেষ্টা করা হলেও সবই ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সেগুলো সবই ব্যয়বহুল।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, কলার এই জ্বালানী শক্তির উৎস হিসেবে জ্বালানী কাঠের উপর নির্ভরশীলতা কমাবে। আফ্রিকার অন্যতম বৃহত্তম কলা উৎপাদনকারী দেশ রুয়ান্ডা, তানজানিয়া ও বুরুন্ডির শতকরা আশি ভাগেরও বেশি জ্বালানীর চাহিদা মেটে কাঠ থেকে। এর ফলে পরিবেশের উপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়ছে।
নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘মিলেনিয়াম গোল’-এর লক্ষ্য পূরণে এবং দারিদ্র কমাতে এটা তাদের একটা ছোট পদক্ষেপ। তারা বিনামূল্যেই তাদের প্রযুক্তিটি সকলকে ব্যবহার করতে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি অনলাইন