Tuesday, September 15, 2009
Colonel Taher : A Real Hero
মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ও কর্নেল তাহের উদ্দিন। দুই জনই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন একইসঙ্গে, অথচ স্বাধীনতার চার বছর পরই একজন তার সহযোদ্ধার জন্য জীবন বাজি রাখলেও আর একজন হয়ে ওঠেন বিশ্বাসঘাতক।
ইতিহাস বোধহয় কখনই থেমে থাকে না। পলাশীর আম্রকাননের পটভূমিতে মীরজাফরের পর স্বাধীন বাংলার পটভূমিতে তারই সমতুল্য আরও একজনের আবির্ভাব হয়, তিনি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।
"নিঃশঙ্ক চিত্তের চেয়ে জীবনে আর বড় কিছু নেই"- তাহেরের সেই উক্তি এখন আমার কানে বাজে সবসময়।
বাংলাদেশকে একটি শোষণহীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে তরুণ তাহের যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। লক্ষ্য একটাই বিপ্লব। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে এসে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। ১১ নং সেক্টরের কমান্ডার হিসেব অংশ নিয়েছিলেন সেখানে। বীরত্বের জন্য পেয়েছিলেন 'বীর উত্তম' খেতাব।
যে তাহের বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ। সত্যিই সেলুকাস! যে জিয়া তাহেরের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলেন, সেই জিয়া তাহেরকে হত্যা করেন। তবে এ বিশ্বাসঘাতকতার ফল জিয়া ঠিকই পেয়েছিলেন আরও চার বছর পর। আবারও পুনরাবৃত্তি ঘটে ইতিহাসের। বিশ্বাসঘাতককে ক্ষমা করে না ইতিহাস কখনোই।
বাংলাদেশকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন তাহের। তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কিন্তু যে বিপ্লবের আগুন তাহের সেদিন জ্বেলে গেছেন, তা হয়তো আবার কোনো দিন আগ্নেয়গিরির লাভার মত বেরিয়ে আসবে। সেদিন কোন বুর্জোয়ার বুলেট তাদেরকে থামাতে পারবে না।
তাহের তোমায় লাল সালাম।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Eishob Tumra Paw Koi...................Tumi Je Eita Lekhla Eitar Kono Reference Ache?
ReplyDeleteমাওলা ব্রাদার্সের 'ক্রাচের কর্নেল' বইটি পড়েন। বইয়ের শেষে অনেক রেফারেন্স দেয়া আছে।
ReplyDelete