সোয়াইন ফ্লুর প্রতিষেধক তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, এমন একটি বিশেষ জিনেটিক গঠনের ভাইরাস (ভাইরাল স্ট্রেইন) পরীক্ষাগারে উৎপাদন করেছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা।
বড় পরিসরে এইচ১ এন১ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক তৈরিতে এটি একটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ পদক্ষেপ বলেও জানিয়েছে তারা।
সোয়াইনফ্লুর ভাইরাসের সঙ্গে একই প্রকারের কিন্তু ভিন্ন গঠনের অন্য একটি ভাইরাসের সঙ্কর ঘটিয়ে নতুন এই ভাইরাল স্ট্রেইন তৈরি করা হয়।
একাজে রিভার্স জেনেটিকস্ নামক কৌশলের ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই কৌশলে, প্রথমে মানবদেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের যে অংশটিকে শনাক্ত করতে পারে তার জিনের গঠনক্রম বের করেন। দেখা গেছে মানবদেহ শনাক্ত করতে পারলেও তাকে প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। তাই মানবদেহ যাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সে লক্ষ্যে সোয়াইন ফ্লুর ভাইরাসের সঙ্গে পরীক্ষাগারে উৎপাদিত ‘হাইব্রিড ভাইরাস’-এর জিন গঠনক্রমের সমন্বয় ঘটনা হয়। আর এতেই মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এই প্রক্রিয়াতেই অন্যান্য প্রচলিত ফ্লূ-প্রতিষেধক তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই এর সাফল্য সম্পর্কে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
আপাতত পরীক্ষামূলক এই ভাইরাল স্ট্রেইন এখন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রি ও অন্যান্য ল্যাবরেটরিগুলোতে পাওয়া যাবে। যুক্তরাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাক্সটার ও গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন-এর সাথে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৯ কোটি প্রতিষেধক তৈরির চুক্তি করেছে।
Saturday, May 30, 2009
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment