Thursday, June 18, 2009

টেকোদের জন্য সুখবর !!


রাস্তায় চলতে হর-হামেশাই চোখে পড়ে ‘মাত্র ২৪ ঘন্টায় টাক সমস্যার সমাধান’ জাতীয় বিজ্ঞাপন। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পশ্চিম বঙ্গের পত্র পত্রিকায় এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। চুল নিয়ে মানুষের চিন্তার আর যেন শেষ নেই। বিশেষ করে যাদের মাথায় চুল কম তারা এই বিষয়টি নিয়ে বেশ হতাশায় ভোগেন।

তবে তাদের জন্য সুখবর বয়ে এনেছে জাপানের বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় তারা দেখতে পেয়েছেন যে এসওএক্স২১ নামের জিন চুল পড়ার অন্যতম কারণ। তারা আশা করছেন, এর ফলে মাথার চুল পড়া ঠেকানোর একটি উপায় এবার পাওয়া যাবে।

এসওএক্স২১ নামে এই জিন শুধু ইঁদুর নয়, মানুষের শরীরেও আছে। বিজ্ঞানীরা কয়েকটি ইঁদুরের শরীরে থাকা এই জিনকে আটকে দিয়ে ইঁদুরগুলোর ওপর প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেছেন।
দেখা গেছে, জন্মের ১৫ দিনের মধ্যেই ইঁদুরগুলোর মাথার চুল পড়তে শুরু করেছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো মাথা খালি হয়ে গেছে।

এই পরীক্ষার ব্যাপারে জাপানের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব জেনেটিকস এর প্রফেসর ইউমিকো সাগা বলেন, সাধারণত পুরনো চুল পড়ে গেলে সেই জায়গায় নতুন করে চুল গজিয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই চুল পড়তে শুরু করেছে এবং অনেক দিন ধরে ইঁদুরগুলো টেকো অবস্থায় রয়েছে।

এর আগে বিজ্ঞানীরা জানতেন যে এসওএক্স২১ জিন মানুষের শরীরের স্নায়ু কোষ গঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু নতুন এই পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে মাথার চুল ধরে রাখার ক্ষেত্রেও এই জিন কাজ করে থাকে।

টোকিওর কেইও ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের প্রফেসর হিদেইউকি ওকানোকে সঙ্গে নিয়ে এই গবেষণা চালান প্রফেসর ইউমিকো সাগা।

গবেষণায় দেখা গেছে, এসওএক্স২১ জিনের অভাবে চুলের বহিরাংশ যাকে কিউটিকলস্‌ বলা হয় সেগুলো ঠিকমত গড়ে উঠতে পারে না। এই কিউটিকলস মাথার চুলকে তালুর সঙ্গে আটকে রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাই এই কিউটকলসগুলো ঠিকমত গঠিত হতে না পারলে মাথার চুল ঝরে পড়ে বলে জানান প্রফেসর সাগা।
এই গবেষণার ফলে মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার চিকিৎসা আরো এগিয়ে যাবে বলে তার ধারণা।

তবে মানুষের ওপর কবে এটি পরীক্ষা করা হবে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।

1 comment: