Thursday, September 10, 2009

রাস্তার জ্যাম (Traffic Jam)


 
ট্রাফিক পুলিশের (Traffic Police) চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার আমরা সবসময়ই করি। রাস্তায় যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকি তখন মনে হয় একটু বেশিই করি। কিন্তু যে লোকটা রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন তার ডিউটি করে যাচ্ছে তার কথা কি একবার ও চিন্তা করি? একবারও কি তার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করি?

শুধু কি ট্রাফিক পুলিশই এই জ্যামের জন্য দায়ী? তাদের ও কিছুটা দোষ যে নেই সেটা বলছি না, কিন্তু ওই যে সমাজের উচু তলার মানুষ যারা দেশের টাকা চুরি করে এসি গাড়ি হাকিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ায় তারা কি একটুও দায়ী নয়?

আমাদের জ্যামের জন্য মূলত দায়ী রিকশা আর ওই সব উচু তলার লোকদের গাড়ি। কিন্তু আমি তাদেরকে উচু তলার লোক বলছি কেন? যারা জনগণের টাকা নিজের কাজে খরচ করছে তাদের তো স্থান হওয়া উচিত অনেক নীচে। কিন্তু সমাজ বোধ হয় সে ব্যবস্থাটি রাখেনি। জরুরি অবস্থার সময় অনেককেরই জারি-জুরি সেসময় ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন আবার তাদের চেহার কিন্তু ভিন্ন।

যাই হোক, বলছিলঅম ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে। ঐসব প্যাচাল পরে পাড়া যাবে। ট্রাফিক জ্যাম দূর করতে আমাদের রাস্তা থেকে গাড়ির পরিমাণ কমাতে হবে। এছাড়া এটা কমানো সম্ভব না। আমাদের বাইক ওয়ালারা তো মনে হয় আইন কি জিনিষ জানেনই না। তাদের কাজই হলো সবসময় wrong side দিয়ে চালানো। আর রিকশা চালকরা, তারা একটু সুযোগ পেলেই এদি-ওদিক দিয়ে চালায়।

যেমন-আজ সেগুনবাগিচা হয়ে অফিসে আসছিলাম। তো সেগুনবাগিচার রাস্তায় দেখি দুই সাইডের রিকশা গাড়ি মুখোমুখি হয়ে বসে আছে। নট নড়ন চড়ন,জাইগায় পুট। বুঝলাম রিকশা চালক আইন বুঝেন না, কিন্তু ঐ রিকশায় যে বসে আছে সে তো বুঝে।  সেতো পারে তার রিকশাটাকে একটু আইন মেনে চলতে বাধ্য করতে। আর এসি লাগানো টয়োটা করোলা গাড়িতে যারা বসে থাকেন তারা কি পারেন না তাদের গাড়িটিকে একটু আইন চালাতে? আসলে আমরা সবাই স্বাক্ষর জ্ঞান অর্জন করেছি কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিত হইনি। তাই ভাইসাবেরা, যারা এই লেখাটি পড়বেন তারা অন্তত একটু তাদের রিকশা বা গাড়িটিকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করবেন। আমার মনে হয় এটি খুব বেশি কঠিন কাজ হবেনা। আর একটি কথা, এই লেখাটা অন্যকেও ফরোয়ার্ড করতে পারেন। এমনওতো হতে পারে লেখাটি পড়ে অন্য আর একজন প্রভাবিত হচ্ছে। এভাবেই হয়তো একদিন আমরা সবাই সচেতন হব আর যানজট বিহীন রাস্তায় চলাচল করবো।

No comments:

Post a Comment